সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক, মহেশখালী:
আসন্ন মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে সময়ের বাস্তবতায় সাজেদুল করিম হতে পারেন এবারের হেভিওয়েট পদপ্রার্থী এমন গুঞ্জনই এখন সাধারণ জণগনের মুখে মুখে। এমন লক্ষকে সামনে রেখেই মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম সাংগঠনিকভাবে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছেন বলে জানান মহেশখালী যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা। সাজেদুল করিম বর্তমানে মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবং আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ—যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা—কর্মীরা জানিয়েছেন, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ—দুঃখের অংশীদার হিসেবে সাজেদুল করিম আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তার মতো আমজনতার মাঝে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
মাতারবাড়ির এক লবণ চাষী মাজেদ বলেন, লবণ আমদানি বন্ধের দাবি এবং লবণের ন্যায্য মূল্যের জনদাবি নিয়ে সব সময়ে সরব ছিলেন এই সাজেদুল করিম। যার কারণে আজ মহেশখালীর লবণ চাষির মুখে হাসির ঝিলিক। পাশাপাশি তিনি সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন এবং মহেশখালীর ঐতিয্যবাহী মিষ্টি পানের জিআই পণ্যের অসম স্বীকৃতির বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন । তিনি আরোও জানান, সাজেদুল করিম একমাত্র ব্যাক্তি মহেশখালীর প্রসিদ্ধ মিষ্টি পানের জিআই পন্য নিয়ে প্রতিবাদকারী। এভাবে মহেশখালীর জনস্বার্থে প্রতিটি বিষয় নিয়ে তিনি সব সময়ে সোচ্চার থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সফল লবণ চাষি বলেন সাজেদুল করিম লবণের ন্যায্য মূল্যের জন্য সব সময়ে তিনি উচ্চ মহলে প্রান্তিক চাষির বিষয়ে খেটে খাওয়া মানুষের দাবীদাওয়া তুলে ধরে করার কারণে আমরা লবনের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি তাই ওনি যদি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সবাই ওনার পক্ষে কাজ বিজয় করবো।
জানতে চাইলে, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মনে করেন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাজেদুল করিম প্রার্থী হতে পারেন। তাকে যুবলীগ থেকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। গতবারেও তাকে মহেশখালী উপজেলার মানুষ বিপুল ভোট দিয়েছিলেন। ব্যক্তি হিসেবে ও মনের দিক থেকে বড় মাপের মানুষ। তিনি প্রার্থী হলে তাকে মহেশখালীর মানুষ এবারে বিজয়ী করবে এমন জোর মন্তব্য তার।
ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের তৃনমুল নেতাকর্মীরা মনে করেন, নানা কারণে ছোট মহেশখালীর মানুষ পরিবর্তন ও নতুনত্ব চায়। এই পরিবর্তন ঘটাতে এবারের যোগ্য নেতা হিসেবে ছোট মহেশখালীর মানুষ সাজেদুল করিমের কথা বলছে। শুনেছি তিনি এবারেও প্রার্থী হবেন। তারা বিশ্বাস তিনি যদি প্রার্থী হন তাহলে ছোট মহেশখালীর মানুষ তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। যুক্তি হিসেবে বলেন, ছোট মহেশখালীর সচেতন মানুষ তারুণ্যকে পছন্দ করে পেশী শক্তিকে বয়কট করে।
কুতুবজোম ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বলেন, তারুণ্যে ভরপুর কর্মঠ ও দক্ষ নেতা হিসেবে এবারে সাজেদুল করিমকে প্রার্থী করেন এটা হবে সঠিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তার মতে সাজেদুল করিমের মহেশখালী উপজেলা জুড়ে কর্মি বাহিনী আছে অন্যদিকে একটি বিশাল ভোট ব্যাংকও রয়েছে।
শাপলাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলেন, জনবান্ধব নেতা হিসেবে সাজেদুল করিমের মহেশখালীর ৮১টি ওয়ার্ডে তার বিচরণ ও পরিচিতি রয়েছে তেমনি শাপলাপুর ইউনিয়নেও তার ভালো পরিচিতি সমান জনপ্রিয়তা আছে। সার্বিক বিবেচনায় তার মতে এবারের নির্বাচনে সাজেদুল করিমকেই শাপলাপুরের মানুষের বেশি ভালোবাসা ও ভোটের দিক এগিয়ে থাকবে।
মহেশখালী উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগ পরিবারের নেতাকর্মীরা মনে করেন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে যুবলীগ নেতা সাজেদুল করিমের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চাতির হচ্ছে মানুষের মুখে মুখে। তিনি শুনেছেন সাজেদুল করিম জমি বিক্রি করে রাজনীতি করেন। যেটা বর্তমান সময়ের জন্য দৃষ্টান্ত। তাই তিনি যদি প্রার্থী হন সেটা সাধারণ মানুষের জন্য যেমন ভালো তেমনি দলের জন্যও ভালো।
সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাওয়া যার স্বাভাবিক অভ্যাস:
যুবলীগ নেতা কালামার ছাড়া ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার মনে করেন সাম্প্রতিক নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি উপজেলা পরিষদের জন্য নিবেদিত ও বিশ্বস্ত নেতার বড়ই প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন ও বিশ্বাস রাখতে পারবেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল করিম। তাই তাকে প্রার্থী করা হলে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হবে। পাশাপাশি মহেশখালীর মানুষ একজন সাদা মনের মানুষ পাবে। এই ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে বলে উল্লেখ করে আরো বলেন, সাজেদুল করিমের প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে সাজেদুল করিম এখনো পর্যন্ত যে রাজনীতি করছেন তার বাপের টাকায় জমি বিক্রি করে।
হোয়ানক ইউনিয়ন যুবলীগের তৃনমূল যুবলীগ কর্মী বলেন, উনি (সাজেদুল করিম) প্রার্থী হচ্ছেন শুনেছি,সাংগঠনিকভাবে খুবই দক্ষ । জানামতে উনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। আমাদের যুবলীগের কাছে, যুবসমাজের মাঝেও প্রিয় একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব।
মহেশখালী উপজেলা র মাতারবাড়ী ইউনিয়েনর একজন সচেতন নাগরিক বলেন, কর্মি বান্ধব ও দক্ষ যুব নেতা হিসেবে পরিপক্ষতার পরিচয় আছে সাজেদুল করিমের। তাঁর মুখ থেকে শুনেননি তিনি যে নির্বাচন করবেন। তবে এলাকায় প্রায় মানুষ তার কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করেন সাজেদুল করিম উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন কিনা। তাতে বুঝা যায় মানুষের ভিতর তাঁকে নিয়ে একটা আকাঙ্খা আছে। তাঁর বিশ্বাস তার এলাকার মানুষ তাকে সাপোর্ট করবে।
জানতে চাইলে আলহাজ্ব সাজেদুল করিম বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষের সেবা করাই আমার লক্ষ্য। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জনগণের সেবা করা সহজ । তাই আন্তরিক ইচ্ছা আছে এবারের উপজেলা নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার। মহান আল্লাহর রহমত হলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হব ইনশাআল্লাহ।
ভয়েস/জেইউ।